Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মাননীয় মন্ত্রীর জীবনী

ড. মোঃ আব্দুস শহীদ, এমপি
মাননীয় মন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়

ড. মোঃ আব্দুস শহীদ  ২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। 

 

ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি ১৯৪৮ সালের ০১ জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মোঃ আব্দুল বারী ও মাতা মরহুমা সাজেদা খানম।

 

ড. মোঃ আব্দুস শহীদ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কালিকা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে  কৃতিত্বের সাথে এসএসসি এবং সিলেটের মদনমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭১ সালে এম.কম (ব্যবস্থাপনা) ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে নৃ-প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ২০১৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করে। মহান শিক্ষকতা পেশার মধ্য দিয়ে তাঁর পেশাগত জীবনের শুরু। তিনি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ  সরকারী গণ-মহাবিদ্যালয়ে ১৯৭৩ সাল থেকে জানুয়ারি ১৯৯১ খ্রিঃ পর্যন্ত উপাধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।          

 

ড. মোঃ আব্দুস শহীদ স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। পাকিস্তান আমলে তিনি সামরিক শাসক স্বৈরাচার আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ও  পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর পশ্চিম পাকিস্তানীদের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগের প্যানেলে সিলেট মদন মোহন কলেজ ছাত্র সংসদে নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৫ সালে ভারপ্রাপ্ত জি,এস হন। ১৯৬৬-১৯৬৮ সালে তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ও ১৯৬৯ সালের ১১ দফা আন্দোলনে ও পূর্বাপর সকল আন্দোলনে সিলেট জেলা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য হিসাবে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯-১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় যোদ্ধা হিসাবে তিনি সাহসী ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর পিতা ও পাঁচ ভাই পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক নির্মমভাবে নির্যাতিত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় হন ।  তিনি ১৯৯১-২০০০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার এবং ২০০৬-২০১৭ সালে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

 

ড. মোঃ আব্দুস শহীদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ সাল হতে টানা সাত বার মৌলভীবাজার-৪ সংসদীয় আসনের (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হতে অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান হিসাবে তিনি গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ, ২০০১-২০০৬ সালে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং ২০০৯-২০১৪ সালে চিফ হুইপ হিসাবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।  

 

 

ড. মোঃ আব্দুস শহীদ জাতীয় সংসদের বিভিন্ন কমিটির সভাপতি ও সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে সংসদ কমিটির সভাপতি, দশম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, তিনি বিগত ৬টি সংসদে বিভিন্ন সময়ে সরকারী হিসাব সম্পর্কিত কমিটি; অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি; কার্য প্রণালী বিধি সম্পর্কিত কমিটি; কার্য উপদেষ্টা সম্পর্কিত কমিটি; বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত কমিটি; পিটিশন কমিটি; বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ  মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি; শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি; শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য ছিলেন।

 

ড. শহীদ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ-নেপাল সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি এবং ‘My Constituency Data Platform’ এর আহ্বায়ক।

 

শিক্ষানুরাগী হিসেবে ড. শহীদ যেমন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন, তেমনি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত আছেন। তিনি শ্রীমঙ্গলের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুস শহীদ কলেজ, কমলগঞ্জের আব্দুল বারী মুলফত উদ্দিন হাফিজিয়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, সাজেদা-বারী শিশুসদন এবং শ্রীমঙ্গলের দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বর্তমানে তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সাবেক সদস্য। 

 

ড. আব্দুস শহীদ অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পেশাজীবী, সামাজিক ও সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।  তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য, Bangladesh Associasion of Parliamentarians on Population and Development (BAPPD) এর সদস্য, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জাতীয় পরিচালনা বোর্ড এবং জাতীয় শুদ্ধাচার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।  তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সংস্থা এবং Bangladesh Association for Prevention and Treatment of Liver Diseases এর আজীবন সদস্য। Bangladesh Parliament Members Support Group (BPMSG) on Prevention of HIV/AIDS and Human Trafficking এর সাবেক সহ-সভাপতি। এছাড়া, তিনি  ঢাকার উত্তরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি।

 ব্যক্তিগত জীবনে ড. শহীদ বিবাহিত এবং এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী উম্মে কুলসুম একজন গৃহিনী। ছেলে মার্গুব মোর্শেদ রোমিও জার্মানিতে বসবাস করেন, পেশায় ব্যবসায়ী। বড় মেয়ে উম্মে ফারজানা শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। ছোট মেয়ে উম্মে মারজানা ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

 

ড. শহীদ সরকারি কাজে যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি, জার্মানি, নেপাল, সাউথ আফ্রিকা, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, জাপান, টোংগা, তুরস্ক, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, শ্রীলংকা, চীন, রাশিয়া, বেলারুশ, মালয়েশিয়া, উগান্ডা, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, ইরাক, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, হংকং, সিংঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড,  কাতার, বাহরাইন, ওমান, সৌদি আরব, ব্রুনাই, অ্যাঙ্গোলা প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন।                                                

---