Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ নভেম্বর ২০১৯

কৃষি মন্ত্রীর সাথে চিলির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ


প্রকাশন তারিখ : 2019-11-05

চিলি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দুই দেশই গ্রুপ অব ৭৭ এবং নন-এলাইন্ড মুভমেন্ট-এর সদস্যরাষ্ট্র। কৌশলগত অবস্থানের কারণে লাতিন আমেরিকায় বাংলাদেশের বাজার স¤প্রসারণের লক্ষ্যে চিলি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ঔষধসহ বেশি কিছু পণ্য চিলির বাজারে প্রবেশ করেছে।  আর চিলির বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান এশীয় খাত হল বাংলাদেশ।

আজ কৃষি মন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে মন্ত্রণালয় তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চিলির রাষ্ট্রদূত জুয়ান অ্যাংগুলো (ঔঁধহ অহমঁষড়) সাক্ষাত করতে আসলে এসব কথা বলেন। কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন; ২০১৩ সালে চিলি বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়। মূলত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করাই এর লক্ষ্য ছিল। বাংলাদেশ থেকে চিলিতে রপ্তানি করা পণ্যের ৯৩% ছিল বস্ত্রশিল্প এবং তৈরি পোশাক। বাকি পণ্যের মধ্যে ছিল পাটতন্তু, জুতা,ওষুধ প্রভৃতি। এসময় মন্ত্রী বাংলাদেশে চিলি’র দুতাবাস খোলার আহবান জানান।

স্বল্পতম সময়ে একটি স্বল্পোন্নত ও নিম্ন আয়ের দেশ বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন তথা মেয়েদের শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা, কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদিতে বিনিয়োগের ফলে সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগামী অবস্থানেও চিলির রাষ্ট্রদূত বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয় দ্রæত কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

চিলির রাষ্ট্রদূত জুয়ান অ্যাংগুলো (ঔঁধহ অহমঁষড়) বলেন, চিলি কৃষি খাতে বেশ ভালো এক্ষত্রে বাংলাদেশের কৃষিখাতে সহায়তার ক্ষেত্র রয়েছে। এছাড়াও পর্যটন,প্রাকৃতিক সম্পদ,দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সামুদ্রিক সম্পদ,সামুদ্রিক সুরক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নিয়মিত পরিদর্শন সম্পর্ককে জোরাল করবে।

উল্লেখ্য; চিলি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ হতে ৬৩.৭মিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেছে,অপরদিকে বাংলাদেশ ২২মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে,এর মধ্যে ছিল লোহা ও স্টিল। চিলি বাংলাদেশের ফাইটোস্যানিটারি সিস্টেম উন্নতিকরণে সহায়তা করবে।

চিলি’র প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন কনস্যুলার আসিফ এ চৌধুরী  ।